অ্যাপল ভিশন প্রো
অ্যাপল ভিশন প্রো এক চমৎকার উদ্ভাবন ।
অ্যাপল ভিশন প্রোর বিস্তারিত বিবরণ।
অ্যাপল ভিশন প্রো একটি থ্রিডী ক্যামেরা। অ্যাপল ভিশন প্রো হল অ্যাপলের তৈরি একটি হেডসেট।
এক নজরে অ্যাপল ভিশন প্রো :
কোড নেম : N301
মালিকানা : আপেল
প্রস্তুত কারক : লাক্স শেয়ার
টাইপ : ভার্চুয়াল হেডসেট
উদ্বোধন : মার্কিনযুক্তরাষ্ট, ফেব্রেুয়ারী ২, ২০২৪
অ্যাপল ভিশন প্রো কি?
অ্যাপল ভিশন প্রো একটি থ্রি ডি ক্যামেরা। এটি অ্যাপলের তৈরি একটি হেডসেট । বলা যায় একটি যাদুকরী গগলস। গগলস চোখে নিলে দৃষ্টির সামনে হয়ে যাবে থ্রি ডি স্পট। এটি হয়ে যাবে জলযন্ত্র কম্পিউটার।
আকারে সাধারণ চশমার মত হলেও এটি ভিশন প্রো । এর ওজন ৬০০ থেকে ৬৫০ গ্রাম। এতে রয়েছে দুটি ডিসপ্লে । আছে OLED প্যানেল। দুই লেন্সে আছে ২ কোটি ৩০ লাখ পিক্সেল । একটি কস্টম 3D লেন্স।
চোখের ইশারায় খুলে যাবে এ্যাপ, মুভি দেখা যাবে। ডকুমেন্টরি লেখা যাবে। প্রযুক্তি এখন হাতের মুঠোয়। দীর্ঘ সাত বছর চেষ্টার পর এই প্রযুক্তি এসেছে। এটি হালকা এবং মসৃণ।
অ্যাপল ভিশন প্রো কিভাবে ব্যবহার করবো ?
অ্যাপল ভিশন প্রো দিয়ে 3D ছবির ভিডিও ক্যাপচার করতে পারেন। আর এ সবই হবে বিশেষ Vision OS অপরাটিং সিস্টেমের মাধ্যমে।
ডিভাইস টি অনলক করার জন্য লাগবে ফেস আইডি এবং টাচ আইডি। হেডসেট টি মাল্টিটাস্কিং করার জন্য এতে রয়েছে দুটি আপেল সিলিকন চিপ।
অ্যাপল ভিশন প্রো ম্যাক এবং আইফোনের সঙ্গে কানেক্ট করা যাবে। টেস্কট ইনপুট এবং কন্ট্রোলের জন্য এতে রয়েছে ব্লুটুথ কানেকটিভিটি। অ্যাপল ভিশন প্রো - তে ভারচুয়াল টাইপিংয়ের সুবিধাও পাওয়া যাবে।
এই হেডসেট ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য ৬০০ অ্যাপ রয়েছে। হেডসেট পরে 3D সিনেমা দেখতে পারবেন ব্যাবহারকারী।
এটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যার কারণে চোখে পড়লে মনে হবে কেউ চশমা পরেছে।
হাত নেরে কন্টোল করা যাবে একাধিক ফিচার। কারন এতে রয়েছে গোসচার ট্রাকিং। এক ডজনেরও বেশি ক্যামেরা রয়েছে এই ডিভাইসে।
ভা্রচুয়াল রিয়েলিটি কি?
ভারচুয়াল রিয়েলিটি হল এমন একটি ব্যাপার যে মনে হবে সব কিছু জীবন্ত। অথ্যাৎ ব্যবহারকারির মনে হবে যে সে ছবির মধ্যে অবস্থান করছে।
এটি 3D ক্যামেরার মাধ্যমে চোখের প্রদর্শন এবং অবস্থান গত ট্রাকিং ব্যবহার করে ।
আই ট্রাকিং এর কারণে আরো সঠিক ভাবে দেখা যাবে ভারচুয়াল দুনিয়া । আর ভিডিও গেমগুলির সাথে হেডসেট গুলো ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। সিমুলেটর এবং প্রশিক্ষক সহ অনান্য যা ব্যবহারকারীর মুখ স্কান করে তৈরি করা হয়।
হেডসেটের সামনের একটি স্কিন চোখের রেন্ডারিং প্রদর্শন করে। যা ব্যবহারকারীর নিমগ্নতার দর্শককের কাছে যোগাযোগের সহয়তা করতে বব্যহৃত হয়।
স্পেসিফিকেশন :
অ্যাপল ভিশন প্রো ৩০০ টি উপাদান নিয়ে গঠিত। এর সামনে একটি বাঁকা কাচের ডিসপ্লে এবং দুই পাশে অ্যালুমিনিয়ামের ফ্রেম, একটি নমনীয় কুশন এবং একটি সামঞ্জস্য যোগ্য হেড ব্যান্ড রয়েছে।
ফ্রেমে পাঁচটি সেন্সর , ছয়টি মাইক্রোফোন এবং ১২ টি ক্যামেরা রয়েছে।
ব্যবহারকারীরা দুটি 3660 X 3200 পিক্সেল । 1. 41 ইঞ্চি (3.6সেমি) মাইক্রো - OLEDডিসপ্লে দেখেন।
LEDs এবং ইনফ্রারেড ক্যামেরার সিস্টেম দ্বারা চোখ ট্রাক করা হয়।
অক্সিলোমিটার এবং জাইরোস্কোপের মতো সেন্সরগুলি মুখের নড়াচড়া ট্রাক করে, বাস্তব জগৎ এবং প্রক্ষিপ্ত চিত্রের মধ্যে পার্থক্য কমিয়ে দেয়।
অ্যাপল ভিশন প্রো কেনা উচিৎ ?
অ্যাপল ভিশন প্রো উচ্চ মূল্যের কারণে সমালোচিত হয়েছিল। কারণ এটির দাম খুব বেশি।
অ্যাপল ভিশন প্রো এর তিনটি মূল্যবান উপাদান হল এর ক্যামেরা এবং সেন্সর। এর ডুয়াল অ্যাপল সিলিকন চিপস এবং টুইন 4K মাইক্রো OLED ভারচুয়াল রিয়েলিটি ডিসপ্লে।
এটি প্রথম প্রজন্মের জন্য তৈরি। দ্বিতীয় প্রজন্মের মডেলের উপর কাজ হচ্ছে।
যাইহোক অ্যাপেল একটি সস্তা মডেল নিয়ে কাজ করে যা ২০২৫ সালের শেষের দিকে বাজারে আসবে।
অ্যাপল ভিশন প্রো এর ব্যাটারি দুই ঘন্টা চলে। সে জন্য এটি সমালোচিত হয়।
অ্যাপল ভিশন প্রো কি বন্ধ হয়ে গেছে ?
যদিও অ্যাপল ভিশন প্রো এর উতপাদন ধীর হয়ে গেছে। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে দ্য ইনফরমেশন এর একটি প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অ্যাপেলের বিক্রি হ্রাসের কারণে এর উতপাদন উল্লেখ্য যোগ্য ভাবে হ্রাস করেছে।
অ্যপল ভিশন প্রো কত দামে বিক্রি হয়েছে ?
অ্যাপল ভিশন প্রো এর দাম ৩৬৯৯ ডলার। আর বাংলাদেশে অ্যাপল ভিশন প্রো এর মূল্য হচ্ছে বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩৫০০০০ টাকা।